সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন

দিল্লিতে এক মিনিট ‘বিশুদ্ধ বাতাস’ ২০ রুপি

দিল্লিতে এক মিনিট ‘বিশুদ্ধ বাতাস’ ২০ রুপি

স্বদেশ ডেস্ক:

দিল্লিতে বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব লক্ষণীয়। ইতোমধ্যে প্রায়  বাতাস কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৬০০ ছুঁই ছুঁই ছিল। অর্থাৎ স্বাস্থ্যের জন্যে কোনো ভাবেই এই বাতাস গ্রহণ করা উচিৎ হবে না।  শুক্রবার ইনডেক্স ছিল ৪৬৭ শনিবার তা ৪১২তে রয়েছে।

দিল্লিতে বায়ুদূষণের অবস্থা এমন পর্যায়ে এর জেরে ১৪ ও ১৫ নভেম্বর রাজধানীর সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ  সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত দূষণ-দমন প্যানেল ইপিসিএ। পাশাপাশি, অফিসকর্মীদেরও বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেয়া হয়।

একিউআই ২০১-৩০০ ইনডেক্সকে খারাপ অবস্থা হিসেবে ধরে থাকে, ৩০১-৪০০ ইনডেক্সকে খুবিই খারাপ অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করে। আর ৪০১-৫০০ ইনডেক্সকে গুরুতর-অনিরাপদ হিসেবে বিবেচ্য করে।

সেই অনুপাতে দিল্লি এখন বসবাসের উপযোগী শহরের মধ্যেই নেই। দীর্গদিন বিশুদ্ধ বাতাস না পাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য দিল্লিতে বিক্রি হচ্ছে ‘বিশুদ্ধ বাতাস’। যার  ‘এক মিনিট’ বিশুদ্ধ বাতাস বিক্রি হচ্ছে ২০ রুপি দরে। আর এ বাতাস বিক্রি হচ্ছে ‘অক্সি বারে’। তাদের দেখাদেখি ব্যবসায় নেমেছে আরেক প্রতিষ্ঠান ‘অক্সি পিওর’। ১৫ মিনিট বিশুদ্ধ বাতাসের দাম ৩০০ রুপি। এক ঘণ্টায় গুনতে হচ্ছে ১২ হাজার রুপি। দিল্লির সাকেত এলাকায় গত সপ্তাহ থেকেই বেশ রমরমা হয়ে উঠেছে এ অক্সিজেন ব্যবসা।

দূষণে মুখ ঢেকেছে দিল্লি। ধোঁয়াশায় মুড়ে আছে রাজপথ। বাতাসে ভাসছে বিষ। হাঁসফাঁস দশা দিল্লিবাসীর। প্রায় সপ্তাহ তিনেক হল- প্রাণভরে শ্বাস নেয়া দায়। কপালে ভাঁজ পরিবেশবিদদের। দূষণে জর্জরিত দিল্লিবাসীদের রেহাই দিতে এল এ ‘অক্সি বার’।

বৃহস্পতিবার ঘন ধোঁয়ার আস্তরণে ঢাকা পড়েছিল রাজধানী। শুক্রবারও সেই পরিস্থিতির হেরফের হয়নি। আজো দিল্লি গ্যাস চেম্বার। সকাল থেকেই বাতাসে ঘন ধোঁয়াশা। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে প্রতিদিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে শত শত মানুষ।

আর সেই দূষণের হাত থেকে বাঁচতেই সকাল-সন্ধ্যা ‘অক্সি বার’-এ ভিড় জমাচ্ছেন দিল্লির লোকেরা।

কারণ, ৩০০ রুপি খরচা করে মাত্র মিনিট পনেরোর মধ্যেই মিলছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন। চাইলে আবার এ অক্সিজেনের সঙ্গে ভিন্ন ফ্লেভারও যোগ করে নিতে পারছেন শৌখিন গ্রাহকরা।

সিন্যামন, স্পিয়ারমিন্ট, পিপারমেন্ট, ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডারের মতো সুগন্ধি ফ্লেভার মিশিয়ে অক্সিজেন বিক্রি করছে বার দুটি।

এ বছরের মে মাসেই ‘অক্সি পিওর’ নামের এ অক্সিজেন বার খোলা হয়।

এখানে কর্মরত বনি ইরেংহামের কথায়, বিশুদ্ধ অক্সিজেন শরীরে গেলে অনিদ্রার সমস্যা থেকে মেলে রেহাই, রাতে ঘুম হয়, মন শান্ত থাকায় মনোসংযোগ করতেও সুবিধা হয়। মানসিক অবসাদও কেটে যায়।

অতঃপর দিন দিন যে এ ‘অক্সি বার’র চাহিদা বেড়েই চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। এ ‘অক্সি বার’র চাহিদার কথা মাথায় রেখেই সাকেতের পর দিল্লি বিমানবন্দরের কাছেও একটি বার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877